শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

কৃষ্ণগহ্বর

কৃষ্ণগহ্বর । 


কি ভীষণ বেদনায় কাটে দিন,কাটে রাত । 

আসে অমাবস্যা 

চারদিক অন্ধকার 

ঘোর ঘন মেঘে ছেয়ে গেছে 

ফাগুনের আকাশ । 

চারদিকে নেমেছে হতাশা হাহাকার 

যেন পৃথিবী এক গভীর কৃষ্ণগহ্বরে নিমজ্জিত । 

কোথাও কারো কোন সাড়া নেই । 

গভীর অন্ধকারে ঘুরপাক খাচ্ছে পৃথিবী। 

সবকিছু গভীর অথলে থলিয়ে যাচ্ছে । 

পৃথিবীর কিংবা বহির্জগতের কোন নিয়ম করছেনা কাজ । 

সময়ের গতি ও কেবল সামুকের গতির মত লাগছে । 

আলোর চেয়ে অধিক গতিতে মহাবিশ্ব ভ্রমণ করছি।  

অনন্তকালের অনন্ত মহাবিশ্বের অনন্ত ভ্রমণে আছি । 

জানিনা এর শেষ কোথায় ?

তবু ছুটেছি মহাজাগতিক নিয়মের বিপরীতে । 

কারণ আমরা মানুষ ! কৌতুহলী জানতে চাই সবকিছু । 

কিন্তু এই মহাবিশ্বের রহস্য কি আদৌ জানতে পারবো আমরা ?কারণ আমরা তো আমাদের নিজেকেই জানিনা।

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০

জীবন । 

জীবন ? 


কিছু কিছু মানুষের জীবন কষ্ট দিয়ে শুরু হয়,

কষ্ট পেয়ে শেষ হয়ে যায় । 

আবার কিছু কিছু মানুষের জীবন সুখ দিয়ে শুরু হয় 

সুখের মাঝেই শেষ হয়ে যায় । 


আবার কিছু কিছু মানুষের জীবন কষ্ট দিয়ে শুরু হয় 

সুখ দিয়ে শেষ হয়ে যায় । 

আবার কিছু কিছু মানুষের জীবন 

সুখ দিয়ে শুরু হয় 

আবার কষ্ট পেয়ে শেষ হয়ে যায়। 


এইত জীবন । এর মানে । 

আসা যাওয়া পথের মাঝে খানিক সময় খেলা । 

দুঃখ সুখের জীবন মেলায়,হারিয়ে যাওয়া বেলা ।

ভালবাসা 

অমাবস্যার এক গভীর রাতে,তুমি আমার বুকে চুমু খেয়ে,

কোলে মাথা রেখে,বলেছিলে ভালবাসি । 

সে রাত পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল চন্দ্রিমায় । 

গগনে জেগে উঠেছিল শত সহস্ত্র তারা, মিটি মিটি হাসি । 


আকাশে,বাতাসে,

সাগরে,পাতালে প্রতিদ্ধনী উঠেছিল 

ভালবাসি,ভালবাসি,ভালবাসি । 


ভালবাসা এক অমূল্য সম্পদ । 

ভালবাসা এক রাত জাগা হলুদিয়া পাখি । 

সে সময় অসময় করে কোকিলের মতো ডাকাডাকি । 

ভালোবাসা এক জীবন,মরণ খেলা । 

কখনো হাসায়,কখনো ভাসায় দুঃখের বেলা ।

প্রিয় বন্ধু 

প্রিয় বন্ধু লিটন দাসনেই । 

মনে পড়ছে বারবার তার কথা, 

তাকে নিয়ে প্যারিসের অলিগলিতে,দিনরাত্রি 

কত ঘোরাফেরা, 

কত হাসি, গান । 

আজ বিকেলবেলা পাপ্পু, প্যারিস থেকে আসছে । 

যাব তার সাথে সমুদ্র স্নানে। 

স্পেনের একটি শহর । 

সান সেবাস্তিয়ান,ধনস্তিয়া । 

দূর সমুদ্রের বেলাভূমিতে ভাসাব গা। 

কিন্তু তুই হীন বন্ধু 

বুকের বা পাশ, খালিই রয়েযাবে । 

যেখানে থাকিস,ভাল থাকিস বন্ধু ।

মানবতা । 

আমি মরুতে সাজাবো ফুলবাগান 

পাষাণের বুকেতে জাগাবো প্রেমের তুফান। 

আমি প্রচন্ড শীতে হব উষ্ণ 

আমি প্রচন্ড প্রেমে হব কৃষ্ণ 

আমি প্রচন্ড খরায় হব বৃষ্টি । 

সারা পৃথিবীতে করবো ভালোবাসার সৃষ্টি। 

যে ভালবাসায় দূর হয়ে যায় 

মানুষের মনে,লুকানো সব হিংস্রতা 

পৃথিবীতে জয়ীহয় মানবতা ।

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

একজন হতভাগা মায়ের কবিতা ।

একজন হতভাগা মায়ের কবিতা । 


প্রকৃতি দেখে না মোর চোখের জল । 

প্রকৃতি দেখেনা পথে খালি গায়ে শুয়ে থাকা 

শীতের রাতে কুকুরের পাশে পথশিশু । 


প্রকৃতি দেখে না ভিখারীর কিশোরী মেয়েকে ছিড়ে খায় শকুনেরা । 

প্রকৃতি দেখেনা ছোট শিশুটির পাশে অযত্নে অবহেলায় মরেপড়ে থাকা তার অভাগিনী মা ।

শিশুটি অপেক্ষায় থাকে কবে ওঠবে তার মা ।

তাকে দেবে করতে তার দুগ্ধ পান । 

শিশুটি সারা দিন, সারা রাত 

অনাহারে বসে থাকে তার মায়ের পাশে

কিন্তু ফুটপাতে পড়েথাকা মা আর জাগে না।

সাধীনতার কবিতা ।

সাধীনতার কবিতা । 

আমি রাজত্ব চাইনা মুক্তি চাই 

ভুরিভুরি মুক্তি 

সারি সারি মুক্তি 

তুলনাহীন মুক্তি 

পৃথিবী নামক গ্রহে কোটি কোটি বছর ধরে বন্দী আমার জীবন ।আমি মুক্তি চাই ।

উড়ে বেড়াতে চাই মুক্ত পাখির মতো ,আলোর গতিতে 

গ্রহ থেকে গ্রহে ,

নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে , 

গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সিতে , 

এক ব্রহ্মাণ্ড থেকে আরো এক ব্রহ্মাণ্ড । 

তার জন্য হয় যদি সাজা মৃত্যুদণ্ড 

আমি মাথা পেতে মেনে নেব ,

বিজয় উল্লাসে করব মৃত্যুবরণ ।

হয়তো কোনদিন পৃথিবী আমাকে করবে স্মরণ 

যখন পুঁজিবাদী সমাজের ছত্রছায়ায় ।

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে 

পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের হাতে পড়তে হবে, 

ওই নির্মম লোহার শিকল ।

ধনী ,ব্যবসায়ী ,কোটিপতি ,

রাজার ছেলে এবং তার সেনাপতি ।

পুঁজিবাদী সমাজের শীর্ষ বিত্তবান লোকদের কাছে মাথানত করবে পৃথিবীর সকল সাধারণ জনতা । 

তখন বুঝবে কাকে বলে মুক্তি 

এবং কাহাকে বলে স্বাধীনতা।