বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মহাকাল

আমি মহাকাল আমি যুগে যুগে জন্ম দিয়েছি যুগোপযোগী মাহামানব
তারা যুগে যুগে জন্ম দিয়েছে যুগোপযোগী ধর্ম , সংস্কৃতি , বিজ্ঞান , সমাজ ব্যবস্থা ,
আচার ,অনুষ্ঠান ,
তারা বন থেকে ওঠে এসে তৈরি করেছে ঘর , গির্জা , মন্দির 
মসজিদ , গবেষণা গার
তারা যুগে যুগে যুগের করেছে উন্নতি সাধন ।
এখন তারা লুহাদিয়ে তৈরি জাহাজের মত বিমান নিয়ে আকাশে ওড়ে
কাঁদে রাইফেল রেখে পাখির মত গুলি করে মারে মানুষ
তারা মাটি ফেড়ে পাতালে যায়
আকাশ বেধ করে যায় চাঁদের দেশে , মঙ্গল গ্রহে বানায় ঘর
আমি মহাকাল আমি দেখছি সব
চুখের পলকে মিথ্যা হল যীশুর বাইবেল আর মুহাম্মদের কুরান
তারা মিলিয়ে গেল বিঝলির মত , জয়ি হল বিজ্ঞান    
সবশেষে মাহাকাল বলে তোমাদের সবি যাবে একদিন গঙ্গার জলে
টিকে থাকব একমাত্র আমি
একমাত্র আমিই অবিনশ্বর
আর বাকি সব শূন্যতায় যাবে মিলিয়ে তোমাদের মন গড়া ঈশ্বর ।
  

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

দিগন্তে মিলিয়ে যাওয়ার আগ পর্জন্ত

মানুষের কাছে জেভাবে তার
ঈশ্বর অনুপ্রেরণা দেয়
আমাকে টিক তেমনি তুমি অনুপ্রেরণা দিচ্ছ প্রিয়তমা
তুমি আমার ঈশ্বর আমি তোমাকে পূজাকরি ।
আমায় কখনো বলনা প্রিতমা তোমাকে ভুলে যেতে ।
তোমাকে ভুলে যেথে চাইলে শরীরের রক্ত চলা চল বন্ধহয়ে যায় 
চোখে আন্ধার দেখি মাতা বন বন করে, ওঠে দাড়াতে পারিনা । 
আর যখনি ভাবি প্রিয়তমা তুমি আছ
আমার বুকের মাজেই আছ
আমার মাতার উপর ছায়া হয়ে আছ
আমি হাঁটছি তুমিয় হাঁটছ ,আমি কথা বলছি তুমিয় বলছ
আমি হাসছি তুমিয় হাসছ
তোমার হাসি মাখা প্রিয় মুখ ভাললাগে প্রিয়তমা
তোমার কষ্ট আমায় বড় যন্ত্রণা দেয় ।
আমার বাঁচতে হলে তোমাকে বড় প্রয়জন প্রিয়তমা
জেন তুমি আমার শরীরের প্রতিটা রক্তবিন্দু
কাজ করার সকল শক্তি
ঈশ্বরের মত তুমি আমার সব ।
আমি ঈশ্বরকে সেজদা করিনা তোমাকে সেজদা করি
আমি দেবতাকে পূজা করিনা তোমাকে পূজা করি
তুমি আমার রব তুমি আমার সব
আমি তোমায় বড় ভালবাসি প্রিয়তমা ।
মানুষ জেভাবে তার ঈশ্বরকে সামনে রেখে পৃথিবীর যা কিছু আছে তা করে
আমি তোমাকে প্রিয়তমা সামনে রেখে পৃথিবীর যা কিছু আছে তা করি 
আমি বাঁচি , আমি নাচি , আমি হাঁটি , আমি হাসি ,
আমি গাই , আমি খাই , আমি কাঁদি , আমি স্বপ্ন বাঁধি
আমি ডুবে যাই , আমি ভেসে ওঠি
আমি মরে যাই , আমি জেগে ওঠি ।
তুমি আমাকে তোমার স্বপ্ন দেখতে মানা করনা প্রিয়তমা
আমি বাঁচবনা ।
আমি বেঁচে আছি তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে
আমি স্বপ্ন দেখি তুমি এই আসছ তুমি আসছ তুমি আসছ
দৃঢ়পায়ে হেঁটে আসছ
পেছনে ফেলেরেখে পৃথিবীর সকল জঞ্জাল
এসে শক্তকরে আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে যাচ্ছ দূর থেকে দূরে
তুমি হাসছ আর তোমার হাসি দেখে আমি মুগ্ধ হচ্ছি
আমার কি বিষণ ভাললাগছে প্রিয়তমা
আমরা শংসার করছি ।
বিকেল বেলায় তুমি আমায় তোমার কোমল হাতদিয়ে আমার হাত ধরে মিষ্টি করে বলছ
এই সন্ধ্যে হয়ে এলো বাজার থেকে
তেল , নুন , ডাল  আনতে যেতে হবে না ?
আমি তোমার কোমল হাতে প্রাণ ভরে চুমো খেয়ে বলছি টিক আছে লক্ষ্মী সোনা এখনি যাচ্ছি ।
আমি বাজারে যাচ্ছি আর তুমি উঠান থেকে হেঁটে বাড়ির রাস্থার পাসে দাড়িয়ে চোখ রাখছ
আমার দিকে দিগন্তে মিলিয়ে যাবার আগ পর্যন্ত ।





 

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বেওয়ারিশ লাশ

রাস্তায় শুয়ে আছি কম্বল মুড়ি দিয়ে
ছেড়া ফাড়া জামা পরে ভিক্ষা করছি
ঝড়ের রাত্রিতে মহানন্দে গান করছি অতবা বিলাপ করছি
বৃক্ষ তলায় বসে পরম সুখে কবিতা লিখছি
অনাহারে মুখ শুকীয়ে চোখ বড় হয়ে আছে 
অর্থ কষ্টে অনর্তক গুরা ফীরা করছি
গভীর রাত্রে নিবিড় বেদনায় স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বের হয়ে আসা গৃহবধুর সাথে
প্রেমের আলিঙ্গনে পরম সুখ দিচ্ছি
আমার দেশ , খেশ , গৃহ , গৃহবধূ , প্রেমিকা কেউ নেই  কোন দিন ছিল না
আমি পথ হাঁটছি অনেক দিন অনেক মহাকাল ধরে হাঁটছি অনন্ত কাল ধরে হাঁটছি
আমার যাত্রা সঙ্গী কেবল আমি ।
আমি নিঃসঙ্গ পথিক আমাকে অনেক অনেক দূর যেতে হবে
যেখানে পাহাড়ের মত দাড়িয়ে আছে পৃথিবীর সকল শান্তি সকল সুখ সকল সফলতা 
কিন্তু আমি অনন্ত কাল ধরে হাঁটছি আমি বড় ক্লান্ত  তৃষ্ণায় গলা শুকীয়ে ফেটে যাচ্ছে
পা দুটো শুকনো পাথার মত ঝরে ঝরে পড়ছে , কত কাল কেটে গেল বিশ্রাম হীন
তবু আমি হাঁটছি  হাঁটতে...... হাঁটতে...... একদিন শুয়ে পড়ব কেয়া বনের ধারে,
পাসে থাকবে ধুলো মাখা পথ
সামনে বিশাল জগত
পেছনে মহাকাল,
মধ্যখানে আমিশুয়ে থাকব
প্রচণ্ড ক্ষিদায় আমার নাড়ি বুড়ি ছিরে যাবে
তৃষ্ণায় গলা ফেটে যাবে ক্লান্তিতে চির নিদ্রা দু চোখ ভরে আসবে
আর তখন আর তখনি আকাশ জুড়ে নাবে শ্রাবণ ধারা
প্রাণ ভরে করব পান বৃষ্টির জল
আর আমি পরম আনন্দে যাবো চির নিদ্রায়
আমার লাশ বনো শেয়াল আর পথের কুকুর ছিড়ে ফেড়ে খাবে
পৃথিবীতে তখন আর আমার আপন বলতে কেউ থাকবেনা ।  

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

পাগল প্রেমিক

পাগল প্রেমিক
আমি  তোমার পাগল প্রেমিক
আমি তোমাকে বড় ভালবাসি তাই
বার বার তোমাকে চাই তোমাকে চেয়ে যদিনা পাই
বড় কষ্ট হয় পাগলের মত জপি বিরহের প্রলাপ
দশ দিক হয়ে যায় অন্ধকার
পৃথিবীর সব রং চোখে লাগে হলুদ  ।
আম পাথা আর গুই সাপকে মনে হয় জলজ প্রাণী
প্রজাপতি আর ঘাস ফড়িংকে মনে হয় মাছরাঙ্গা পাখী
তখন সবি হয়ে যায় উলট পালট 
চুলে, গুপে, দাড়িতে বাধিয়ে জট  
আমি দাড়িয়ে থাকি বৃক্ষের মত  তার আশায়, 
যে আমাকে বলেছিল আসবে স্রাবণের
সেই রাত যে রাতে ঝরবে বৃষ্টি অঝর ধারায় ।
আর আমি আর সে প্রাণ ভরে করব স্নান সেই বরষায় ।

মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

তুমি

আমার এ চোখ জা দেখে সে তুমি
আমার এ কান জা শুনে সে তোমার কণ্ঠ
আমার এ বুক জা ধরে রেখেছে তা তোমারি ভালবাসা
আমার এ মস্তিস্ক জা ভাবে তা তোমাকে নিয়ে
আমার এ ঠোট জাকে চুমো দেয়ার অধীর অপেক্ষায় আছে তা তোমার ওই কপাল
আমার এ দুটি পা যেদিকে হেঁটে যায় সে তোমার বাড়ির ধূলমাখা পথ
আমার এ দু হাত জাকে জড়িয়ে ধরতে চায় সে তোমাকে ।

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

তোমার ব্যস্ততা

দূরে কোথাও চলে যাচ্ছি প্রিয়তমা
তুমি ভাল থেক
তুমি ভাল থেক তোমার বন্ধুরের সাথে আড্ডায় মেতে
তুমি ভাল থেক ফেইসবুকে দিবারাত্রি চেটে অনলাইন প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে
ভালবাসার কোমল স্নিগ্ধতায় বিজে

জানি আমায় ভালবেসে তুমি হৃদয়ের গভীর ছোট কোনে দিয়েছ একতিল  জায়গা
তবু তোমার সারা শরীর জুড়ে আছে তোমার প্রিয় বন্ধুদের প্রতি সীমাহীন ভালবাসা
তোমার দিবারাত্রি কেটে যায় কি দারুণ ভালবাসার ব্যস্থতায়
তোমার এই আনন্দময় ব্যস্ততা দেখে
আমারও বিষণ আনন্দ লাগে ।