মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

একজন হতভাগা মায়ের কবিতা ।

একজন হতভাগা মায়ের কবিতা । 


প্রকৃতি দেখে না মোর চোখের জল । 

প্রকৃতি দেখেনা পথে খালি গায়ে শুয়ে থাকা 

শীতের রাতে কুকুরের পাশে পথশিশু । 


প্রকৃতি দেখে না ভিখারীর কিশোরী মেয়েকে ছিড়ে খায় শকুনেরা । 

প্রকৃতি দেখেনা ছোট শিশুটির পাশে অযত্নে অবহেলায় মরেপড়ে থাকা তার অভাগিনী মা ।

শিশুটি অপেক্ষায় থাকে কবে ওঠবে তার মা ।

তাকে দেবে করতে তার দুগ্ধ পান । 

শিশুটি সারা দিন, সারা রাত 

অনাহারে বসে থাকে তার মায়ের পাশে

কিন্তু ফুটপাতে পড়েথাকা মা আর জাগে না।

সাধীনতার কবিতা ।

সাধীনতার কবিতা । 

আমি রাজত্ব চাইনা মুক্তি চাই 

ভুরিভুরি মুক্তি 

সারি সারি মুক্তি 

তুলনাহীন মুক্তি 

পৃথিবী নামক গ্রহে কোটি কোটি বছর ধরে বন্দী আমার জীবন ।আমি মুক্তি চাই ।

উড়ে বেড়াতে চাই মুক্ত পাখির মতো ,আলোর গতিতে 

গ্রহ থেকে গ্রহে ,

নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে , 

গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সিতে , 

এক ব্রহ্মাণ্ড থেকে আরো এক ব্রহ্মাণ্ড । 

তার জন্য হয় যদি সাজা মৃত্যুদণ্ড 

আমি মাথা পেতে মেনে নেব ,

বিজয় উল্লাসে করব মৃত্যুবরণ ।

হয়তো কোনদিন পৃথিবী আমাকে করবে স্মরণ 

যখন পুঁজিবাদী সমাজের ছত্রছায়ায় ।

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে 

পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের হাতে পড়তে হবে, 

ওই নির্মম লোহার শিকল ।

ধনী ,ব্যবসায়ী ,কোটিপতি ,

রাজার ছেলে এবং তার সেনাপতি ।

পুঁজিবাদী সমাজের শীর্ষ বিত্তবান লোকদের কাছে মাথানত করবে পৃথিবীর সকল সাধারণ জনতা । 

তখন বুঝবে কাকে বলে মুক্তি 

এবং কাহাকে বলে স্বাধীনতা।