মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪

সখি ভালবাসা কারে কয়

সখি ভালবাসা কারে কয়
তুমি হীনা কেন প্রথিদিন গভির
বেদনায় কাঁদে হৃদয়
সখি ভালবাসা কারে কয়
সখি ভালবাসা কারে কয়
সখি ভালবাসা করেছি জয়
নির্ভয় তোমারে ভালবেসে
তবু এবেলায় কেন আজ
কাঁদি অবশেষে
জানিনা এ কান্নার শেষ পরিণয়
সখি ভালবসা কারে কয়
সখি ভালবসা কারে কয়
দিয়েছ প্রেম মালা পরায়ে
নিয়েছ বুকে জড়ায়ে
হয়েছে সৃষ্টি প্রেমের মধুর বলয়
সখি ভালবাসা কারে কয়
সখি ভালবসা কারে কয়
আজ আমি একা
জানিনা কবে  হবে আর দেখা
সে আশায় রাত্রি, ভোর ,সূর্য উদয়
সখি ভালবাসা কারে কয় 
সখি ভালবাসা কারে কয়
ভালবাসা করতে প্রেমময়
গলায় দেব ফাসি বিনিময়
তখনি বুজবে প্রিয়া আমার এই গভির প্রণয়
সখি ভালবাসা কারে কয়
সখি ভালবাসা কারে কয় 

সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০১৪

কেন এই মানব জন্ম ?

পথহারা পথিকের মত জীবনের সব হারীয়ে
আমি আজ তোমার দরজায় এসে দাঁড়িয়েছি ,
যদি ইচ্ছা হয় কাছে টেনেনাও
না হয় তুমিও হারিয়ে যাও
জীবনের হারীয়ে যাওয়া সব
আনন্দ বেদনার মত,
আমি না হয় আর কিছুই পেলাম না
এই বসবাস রত মানব মানবীর পৃথিবীতে ,
আমি নাহয়  কোন দিনই কিচ্ছু পেলাম না
আমি নাহয় ঝরেই পড়ে গেলাম
আগত কাল বৈশাখীর কাল ঝড়ে,
বৃক্ষ পাথার মত উড়ে গিয়ে পড়ে রইলাম মাটীর কোন এক সীমানায়,
আমার মত ঘুণধরা কাট
আর কত কালই বা হাটবে ভবের হাট ।
জানি এই কাট আর কেউ কিনবেনা ,
পড়ে থাকবে যে  কোন স্থানে কেউ তা দেখিবেনা ,
এই ভাবে যদি চলে যায় একটি মানুষ
মানবের এই দুনিয়ায় 
তাহলে কেন এই মানবাতা?
কেন এই মানব জন্ম ?
কীসের সার্থকতা এই মানব জন্মে ?
তাহলে সব ভুল সব ভুল কেহ নাই কিচ্ছু নাই
তাহলে আমরা এ কীসের আনন্দ ?
কীসের ব্যার্থতা ?
কীসের হিংস্রতা ?
কীসের মানবতা
আর কীসের অহমিকা ?
কেন, কেনইবা দেখাই ?
কেনইবা বিলাই ?  

ইবাদাত, রোজা এবং আল্লাহ নিয়ে কিছু কথা

মুসল মানরা কত মুর্খ আর কত অন্ধ তা রমজান মাস না আসলে বুজা যায়না রোজা রেখে ইফতার খেতে পায়না বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম রোজারেখে বিশ্বের হাজার হাজার মুসলিম অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে হসপিটালের বিছানায় । তাদেরকে তাদের আল্লাহ যদি সৃষ্টি করে থাকত তাহলে তাহারী ইবাদাত করে রোজা রেখে গ্যাস্ট্রিক আর ডায়বেটিস অতি মাত্রায় বেড়ে হসপিটালের বেডে পড়ে থাকতে হতনা। না খেয়ে সারাদিন রোজা রেখে খাদ্যের অভাবে রাতও কাটাতে হত না , লাখ ...লাখ মুসলিমের পেটে নিয়ে ক্ষিদার জালা । এখানে প্রমানিত যে আল্লা নিশ্চই পাষাণ্ড , ভণ্ড এবং তিনি কিছুই সৃষ্টি করেন নি অথবা তিনি স্রষ্টা নন । কারণ যদি তিনি মানুষ সৃষ্টি করে থাকতেন তাহলে যে মানুষ তাহার ইবাদাত করে রোজা রাখে । তাকে কোন দিন কষ্ট দিতেন না । কারণ স্রষ্টারা এমন হয়না । এমন নির্বোধ বা নিষ্ঠুর হতে পারে কেবল প্রাকৃতিক নিয়ম ! তাহলে কি প্রাকৃতিক নিয়ম আমাদের স্রষ্টা ?

হ্যা বিজ্ঞান তাই বলে ।

রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৪

বাংলার সকল নারীর মুক্তি আজ

আজ থেকে বাংলার সকল নারী মুক্ত আজ থেকে বাংলার সকল নারী রিক্সশা চালাবে , ট্রাম , বাস ,ট্রাক ,রেল , চালাবে , বিমান আকাশে ওড়াবে , জাহাজ , চালাবে , আজ থেকে কোন নারী সংসার চালাবেনা , বাংলার সকল নারীর মুক্তি আজ চিরজীবনের জন্য । তারা বিয়ে বসবেনা তারা বিয়ে করবে তারা যৌতুক দেবেনা যৌতুক নেবে যা ইচ্ছা তাই করবে সিগারেট পান করবে , উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তাদের আয়ে বাংলাদেশ চলবে তারা দেশের এবং মা বাবার বোঝা হয়ে থাকবেনা আর ।অবাক হয়ে দেখবে বিশ্ব তাদের বীজয় সমাহার ।

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০১৪

না হয় একদিন মরে যাব

কি লিখব আমি আর
মাথা কাজ করছেনা
হাতে জ্বলন্ত সিগারেট
বুকে জ্বলন্ত অগ্নীগিরি
চোখে বেদনার জলন্ত মশাল ।

পাহাড় চাপা পড়েছে মাথায়
হৃদয় কাপছে তর তর ভীষণ ব্যথায়

এ কিসের ব্যথা আমার ?
তোমাকে না পাওয়ার বেদনা কি এত ভয়ানক ?
আগেকার যোগে কালা পানিতে নির্বাসন দেয়াহত মানুষ
কিংবা পান করানো হত প্রাণনাশক হেমলকের বিষ

আমি কি তাহলে সেই কালা পানির নির্বাসীত এক কাল পুরুষ ?
হেমলকের বিষপান যোগ্য এক বিষাক্ত পুরুষ ?

আমার একটাই অপরাধ আমি তোমাকে ভালবাসি
তার  জন্য কি দিতে হবে নির্বাসন ?
পান করাতে হবে হেমলকের বিষ ?

আমি আরও কিছু দিন বাঁচতে চাই
দয়া কর আমায়
আমি তোমাকে ভালবেসেই বাচতে চাই

তোমাকে ভালবাসার পর
না হয় একদিন মরে যাব

ভিখারীর বেসে
নির্বাসিত দেশে

পড়ে থাকব মাটির উপর
কুকুর শৃগাল খাবে ছিরে আমার বক্ষ পাঝর

আমি তাদের কিচ্ছু বলবনা
আমি শুয়ে থাকব নিশ্চুপ নিরবে
হয়ত তখনো আমার দুটি চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরবে ।



 

দুর্বিষহ জীবন

দুর্বিষহ জীবন
ইট পাঁথর কাচের শহরে
কে কবে কোথায় কত টুকু
ভীষণ অসহায় হয়ে পড়ে আছে
খোলা আকাশের নিচে রাস্তার পাশে 
তার খবর কেউ কি কখন রাখো ?
প্রতিদিন জলছে  ঠায় দাড়িয়ে থাকা লেম্পোষ্টের ঝলমলে আলো ,
প্রতিটা দালান কোঠার ঝকমকে প্রদীপ
তার মাঝে হাসি খুশি করে থাকা মানুষ  জানিনা কত সুখে আছে
গান গাচ্ছে ছেলে মেয়েকে চুমু খাচ্ছে ,স্ত্রীর গায়ের নরম আধরে নিজেকে করছে উৎসর্গ।
সকাল হচ্ছে অফিসে যাচ্ছে
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে চা , আথবা কফি নিয়ে মেতেছে আয়েশের আড্ডা,
তাদের জীবন কত না সহজ কত না সরল
আর এই ভবঘুড়ে আর এই ঘর সংসার সর্বশ্য হারা ছেড়া ফাড়া জামা ওলা লোকটার জীবন কি ভীষণ দুর্বিষহময় তোমারা কি কেউ তার খবর রাখ ।

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০১৪

রক্তাক্ত বাংলাদেশ

২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজের বাসায় যাওয়ার পথে ঘাতকদের আক্রমণের শিকার হন তিনি। বিদেশে নিবিড় চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি কিছুটা সুস্থ হন। জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ নামক ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের একজন শীর্ষনেতা শায়খ আব্দুর রহমান পরবর্তিতে হুমায়ুন আজাদ এবং একইসাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম ইউনুসকে হত্যার নির্দেশ দেবার কথা স্বীকার করেন।[১৮] এই হত্যা প্রচেষ্টার মামলা দ্রুত শেষ করার জন্য উচ্চ আদালত ফেব্রুয়ারি ২০১৪তে আদেশ প্রদান করে।









ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনের উপর হামলা হয় জানুয়ারী মাসের ১৪ তারিখ। হামলাকারীরা তাঁর ঘাড়ে, পিঠে কোপ দেয়। তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচার পরে গুরুতর আহত আসিফ প্রানে বেঁচে যান। তিনি জানান, ''কোপের ধরন প্রমাণ করে হামলাকারীরা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল৷”।





গণজাগরণ-মঞ্চের-কর্মী-

 গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব হায়দার শোভন (৩৫) ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩ শুক্রবার তার পল্লবীর বাসার কাছে সন্ধ্যায় উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে কে বা কারা হত্যা করে ।
 

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও ইতিহাসের সংরক্ষণে বাংলা ব্লগ ও বাঙালি ব্লগারদের যে ভূমিকা তার চূড়ান্ত প্রকাশ আমরা দেখেছিলাম শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে।
এই কালো আইনের শিকার চট্টগ্রাম নিবাসী দুই কিশোর ব্লগার কাজী রায়হান রাহী ও উল্লাস ডি ভাবন। গত ৩০ মার্চ’ ২০১৪ তারিখে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে নিজেদের আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি তাদের উপর আক্রমণ চালায় জামাত-শিবির মনষ্ক ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীরা






ঘটনা ২৪ শে জুন ২০১৪ মঙ্গলবার। সেদিন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু নিজামি অকস্মাৎ রাজনৈতিক অসুস্থ হয়ে পড়ার ফলে আদালতে রায়ের তারিখ আবার পিছিয়ে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, নিজামির রক্তচাপ বেড়ে গেছে তাই তার বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন!
নিজামির ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে, গণজাগরণ মঞ্চের ঐদিন সকালে শাহবাগে সমবেত হবার কর্মসূচী ছিলো। সকালের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে রাকিব আল মামুন বাসা থেকে রওনা দেন। রাকিব পেশায় পালর্স কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের প্রজেক্ট কোঅরডিনেটর। বেলা ১১টার দিকে মোহম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং এলাকায় তার উপর গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা।