সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

জীবন জুড়ে হৃদয় পুড়ে ।

জীবন জুড়ে 
হৃদয় পুড়ে ,হল ছারখার 
কেউ নয় আমার বন্ধু 
কেউ নেই আমার ।

বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

আমি মরতে মরতে একদিন বেঁচে যাব।

আমার নেই শোবার ঘর 
মাথার উপর ছাদ 
আদর করার মত এক খানা বিবি। 
দে দেরে তোরা , আর কত কস্ট দিবি ?

আমি সংকুচিত হতে হতে একদিন প্রসারিত হব 
আমি মরতে মরতে একদিন বেঁচে যাব। 

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭

পৃথিবীতে ভালো থাকা আর আমার হলনা ।

পৃথিবীতে ভালো থাকা আর আমার হলনা ।
আমি একদিন বড় হব ,বড় হয়ে ভালো থাকব,
সুখে থাকব ।
নিজের ইচ্ছা মত চলব।
এই স্বপ্নটা নিয়ে বড় হয়ে আজ ।
সেই স্বপ্ন আমার স্বপ্নই রয়েগেল।
ভালো থাকা আর হল না ।
ভালো থাকিস তুরা সকল বন্ধুরা
আমি ভালো নেই ।
হয়ত আর কোন দিন ভালো থাকব না ।
ভালো থাকা আমার জন্য নয় ।

গভীর বেদনা বুকের মাঝে খেলা করছে আজ ।

কি গভীর বেদনা বুকের মাঝে খেলা করছে আজ ।
তা যদি একবার বুক ছিড়ে দেখাতে পারতাম।
কালো কালো বেদনার গাঢ় নীল অন্ধকার ।
চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে আমায় করেছে শুন্য ।
এশুন্যতা ভয়ঙ্কর ব্ল্যাক হোলের মত গ্রাস করেনিচ্ছে প্রতিদিন আমায় ।

সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ঘোর ঘন অন্ধকার।

ঘোর ঘন অন্ধকার । 
চার দিকে এত আলো । 
তবু এক ফোটা আলো নেই। 
সব আলো তাদের ,যাদের জন্য 
জমা আছে ,পৃথিবীর সকল
অনাহারী মানুষের আহার।
আর আমাদের মত হত ভাগারা 
সারা জীবন অন্ধকারে ঠুকরে ঠুকরে মরে । 

তাতে পৃথিবীর কিচ্ছু যায় আসে না । 

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

অন্ধকার ।

কি আর লিখব
বুকের ভেতর কালো কালো ব্যথা টন টন করছে।
সারা নিশিত জেগে
তিমিরের সাথে মিশেথেকে
জীবনের সকল কস্টকে ভালবেসে
আলোর সন্ধানে দু"হাত বাড়াই
দু"হাতভরে ওঠে আসে মোঠ মোঠ অন্ধকার
আর অন্ধকার ।

রবিবার, ৭ মে, ২০১৭

অভাব ।

অভাব ।

মাত্র দুদিন গেল আবার অভাব এসে হানা দিয়ে
মেলে ধরেছে তার ডানা ।
ধরছে কত বাহানা
ট্রেন্ডি ফ্যাশনের চামড়ার সাইড ব্যাগ কিনেদিতে না পারায় বুকের পিঞ্জিরায় রাখা ময়না পাখীটাও সেদিন গেল উড়ে।

শহরে চলার পথে কত কিযে ভাল লাগে
কিনার সাদ যাগে
কিনতে পারিনা ।
শুধু মনকে দেই শান্তনা ।
মনকে বলি মন
একটু স্থিরহ, একটু বুঝ
অভাব মানুষের চির জীবন থাকেনা ।

একদিন আমারও অনেক টাকা হবে ।
বাড়ি হবে ,গাড়ি হবে, নারী হবে ।
ঘরে গেলে ভাত বেড়ে দিবে
আদরের চাদর  বিছিয়ে দিবে
হাত পাখার বাতাস করবে
ভালবাসবে ।
কাছে আসবে চুমো খাবে
কুকিলের মত গান শুনাবে  ।
একদিন আমার সব হবে ।

এখন কেউ নেই,কিচ্ছু নেই তো কি হয়েছে
একদিন আমার সব হবে
আমার সব থাকবে   ।
আমি সব পাব
সব খাব
সব কিনব ।
একদিন পৃথিবীর সকল অভাবি মানুষকে বিলিয়ে দিয়ে চলে যাব অনেক অনেক দূরে
আমার যা আছে সব ।

প্রার্থনা ।

হে ভুয়া ইশ্বর
তুমি প্রস্থর যুগ থেকে অজ্ঞ মানুষের মাথায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে ভরকরে প্রায় অর্দেক পৃথিবী ধ্বংস করে ফেলেছ । এখন দয়াকরে একটু রেহাই দাও ভণ্ড , মুর্খ  মানুষের মাথা থেকেনাম , মানুষ ভুলে যাক জাত পাত , মানুষকে মানুষ পরিচয়ে বাঁচতে দাও।
মানুষের যেন আর মৃত্যু না হয় মুসলমান, হিন্দু , বৌদ্ধ, খৃস্টান হিসেবে।
মানুষের যেন এবার মৃত্যু হয় মানুষ হিসেবে ।

আমরা শান্তি চাই
ভালবাসা চাই
মানবতা চাই
আমরা মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই ।
তুমি নেমে এসে ধুলো মাটির সাথে মিশেযাও হে ভুয়া প্রভু
বন্যার পানির মত ভাসিয়ে নিয়ে যাও
তোমার সকল আবর্জনা।

রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭

কুড়ি বছর পেরিয়ে

কুড়ি বছর পেরিয়ে
আমার প্রেমিকা হাসি
কুড়ি বছর আগে
হেসে হেসে মিলিয়ে গিয়েছিল ওই দূর দিগন্তে ।
আজ রাত স্বপ্নে দেখলাম তারে
আজ রাত স্বপ্নে এসে সে
আগের মত আমার বেদনা কাতর হাত ধরে নিয়ে গেল তেপান্তরের মাঠ ।
সবুজ ঘাসের দেশে ।
ময়ূর পাখির ডানার মত দুটি ডানা মেলে আমাকে নিয়ে গেল এক
রূপ কথার শহরে ।

এই শরের পাখিরা কথা বলে
কুকিলা গান গায় মানুষের মত।
প্রজাপতি তার রঙিন ডানা মেলে আমাকে বশতে দিল
বৃক্ষেরা আমায় ছায় দিল
একটি লাল গোলাপ এসে তার সুভাষ ছড়াল
লাল পরী, নীল পরী এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াল ।
হটাৎ করে আমর প্রেমিকা এসে আমাকে বলল কি গো হে সারা দিন ঘুমিয়ে থাকলে কি চলবে বাড়ি যেতে হবে না ?
আমি তাড়া তাড়ী করে ওঠে তার কোমল হাত ধরে বললাম কি গো এ কোথায় নিয়ে এলে আমায়?
যা দেখি সবি সুন্দর
যা শুনি সবি মধুর
যা খাই সবি অমৃত ।
সে আমাকে বলে সে এক গোপন জায়গা
তোমাকে কোনদিন বলব না ।
আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে এখন বাড়ি ফিরে যাই চল
সে বলে আচ্ছা তবে তোমার বাড়ি নয়
আমার বাড়ি যাব
আমি বললাম চল ।
আমাকে নিয়ে গেল সে পাখির নীড়ের মত বৃক্ষের ডগায় সবুজ পাথা দিয়ে সাজানো এক তাজ মহল ।
ভেতরে ঢোকে দেখি সবুজ বড় বড় পাথায় সাজানো পৃথিবীর সব মজার খাবার।
আমি তাকে নিয়ে খেতে বসলাম
কিন্তু সে বলল তার খিদে নাই
তাই শুধু আমি খেতে লাগলাম
এত মজার খাবার আমার জীবনে কোন দিন খাইনি
যত খাই তত মজা লাগে
তত খিদে বাড়ে
শেষ পর্যন্ত ক্লান্ত হয়ে খাওয়া বাদ দিলাম ।
তার পর সে নিয়ে গেল আমায়
আকা বাকা এক রাস্থার মুড়ে
আমায় আঙুল দিয়ে ইশারা করে দেখাল।
একটি বট বৃক্ষে দুটি পাখী মনের সুখে বসে গান করছে।
তার পর ঐ দূরে হাততুলে আমাকে বলল ওঠা কি ?
আমি বললাম দূর দিগন্ত ।
তার পর সে বলে আমার খুব বেশী ইচ্ছে করে
ওঐ দূর দিগন্তে হারিয়ে যেতে ।
তার পর সে আমার পানে চেয়ে একবার মিষ্টি করে
হাসল ।
তার পর সে সাড়ীর নীল আঁচল উড়িয়ে ডানা মেলে
হেসে হেসে চলে গেল
সেই যে গেল আর কোন দিন এল না ।
কুড়ি বছর পেরিয়ে গেল ।
আমি আজো তার অপেক্ষায় বসে আছি ...........................

বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭

শান্তির ধর্ম ইলাম

শান্তির ধর্ম ইলাম

ইসলাম যদি শান্তির ধর্ম হত
তাহলে ইসলামি সকল দেশ হয়ে যেত
শান্তিতে ভরপুর ।
নারীরা আকাশে ডানা মেলে উড়ত
আর রেহাই পেত সব বিড়াল কুকুর  ।

নারীরা আর যৌন দাসী হতনা
যৌন দাসীরা আর বুর্খা পরত না
ঘরে বাহিরে যেখানে সেখানে আর পুরুষের হাতে মার খেতনা ।
পেত শুধু ভালবাসা আর ভালবাসা
থাকত শুধু আধরে আধরে ।
শান্তি শুখের এক রঙিন চাদরে ।

ইসলামি দেশে
নারী বন্ধী
নারী নির্যাতন
নারী বিক্রি
নারী পাচার
নারী হত্যা
নারী ভোগ
আর হত না ।

ইসলামি দেশে
নারী ছোট ছেলেদের খেলার পুতুল
আর যুবক পুরুষের যৌন যন্ত্র
আর বৃদ্ধ পুরুষের যৌন দাসী
নারী বৃদ্ধা বয়সে পচা, বাসী
যৌবনে পুরুষের জবাই করা আস্ত খাসী ।

নারীর কাছে পুরুষ ,ভাই ।
পুরুষ, পিতা
পুরুষ, সন্তান
পুরুষ, বগবান ।

পরুষের কাছে নারী
অবলা
নারী রহশ্যময়ী
নারী অশরীরী  ।

এই সবই ধর্ম গ্রন্থ থেকে শীখেছে  পুরুষেরা
এই সব ধর্ম গ্রন্থ থেকে শীখেছে নারীরা ।
আর এই যদি হয় ধর্ম গ্রন্থের বিচার
দুই লিঙ্গের দুই মানুষের প্রথি ।
তবে পৃথিবীতে শান্তির ধর্ম ইসলাম
যে দাবী করবে
সে তার মুখে নিজেকে মুর্খ, ভণ্ড, অমানুষ দাবীকরবে ।

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

জীবন আমার জীবন্ত নয়

জীবন আমার জীবন্ত নয়  এই জীবনে হয় মরনের জয় ।  চলিতে চলিতে ক্লান্ত চরণ  বসে আছি ওপার হয়ে এবার যদি আসে গো মরন ।  তারে আমি বউ সাজিয়ে করিব বরণ ।  আমারে কেউ করিও না শ্মরন  দেখিও না কেউ কোনদিন আমার এ বুকের রক্তক্ষরণ ।  আমি আর আসিবনা তোমাদের মাজে  চাইলেও দেখিতে পারবেনা আমায় আর কোন নতুন সাজে ।

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

আজ হটাৎ করে

আজ হঠাৎ করে আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। ইউরোপে থাকি ।ইউরোপে বড়করে পালন হয় বড় দিন। বাংলাদেশের ঈদের দিনের মত। আজ চার দিকে বড় সাজ সাজ রব। পুরো প্যারিস শহর সাজানো হয়েছে লাল নিল বাতি দিয়ে।রাস্থার পাশের একটি বাস, স্টেশনে দাড়িয়ে আছি ।কাজ শেষ বাসা যাব তাই।কিন্তু বাসায় গিয়ে কি হবে বাসায় কেউ নাই।বাসা একা এক বিশন্য বাতাসে শন শন করছে। আজ বড় দিন । সবাই ঘরে ফিরছে কেনাকাটা করে। যে যার মত মনের আনন্দে । আমি ঠায় অশহায় দাড়িয়ে আছি। আজ আনন্দ করার বিশন ইচ্ছা করছে।সবার মত আমারো ইচ্ছা করছে কেনাকাটা করে বাসায় যেতে । বাসায় গিয়ে দেখতে আমার প্রান প্রিও মা আমার জন্য কত শত খাবার নিয়ে বসে আছে ।পায়েস ,শন্দেশ ,দেশিও খাবার আর কত কি । বসব,আনন্দ করে বাসার সবার সাথে  খাব ।  আমি যখন দেশেছিলাম যখন রাতে বাসা ফিরতাম,আমার মা আমার পাশে বসে , মাথায় হাত বুলিয়ে বলত আমার পাগল ছেলে দেখ সারা দিন না খেয়ে কেমন মুখ টা শুকিয়ে  গেছে । মা " এখন আমার শুধু মুখ নয় ,বুকও শুকিয়ে কয়লা হয়ে ঝিকি ঝিকি জলছে সারা জীবন ,কেউ নাই, কেউ দেখেনা । বাসা শন শন করছে নিরব বাতাসে । আমি এখন কি করব? বাসায় যেতে ইচ্ছা করছেনা মা , একা ঠায় দারিয়ে মানুষের আসা যাওয়া দেখছি ।

বিষণ একলা

বড় একলা লাগছে 
কারকাছে যাব, কি করব ,কোথায় যাব ভেবে পাচ্ছিনা  । 
বুকের মাজে জলছে দাউ দাউ বেদনর আগুন  । 
আমি একা বসে আছি বিষণ একা । 

মানুষের আসা যাওয়া দেখছি । 
মানুষ তার মানুষীকে নিয়ে কি মধুর হেসে,খেলে যাচ্ছে । 
আমি কাকে নিয়ে হাসব, 
আমি কাকে নিয়ে খেলব ,
আমার খেলার সাথী 
আমার আলোর বাতি ,
চলেগেছে নিভিয়ে আমার জীবনের সকল আলো । 

আমি কি করব ?
আমি এখন কি করব ? 
দুহাত দিয়ে কিছু করব, সে শক্তি নেই । 
দু পা দিয়ে হাটব, সে ইচ্ছা নেই । 
একা বসে আছি  । 

পথচারী সবাই কোথা থেকে কোথা চলেযায়,
আমি একা ঠায় বসে হায়।  
কোথাও যাইনা 
আমার কোথাও যাবার জায়গা নাই ।

হতাশা

যখন ভেঙেযায় সব আশা 
তখন চলে আসে সব হতাশা 
হতাশা নিয়ে বেঁচে থাকা 
আর জলে কুমিরের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা এক  । 
দেখি জলে কুমিরের সাথে লড়াই করে কত দিন বেঁচে থাকতে পারি ।