রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

জ্বলছে দাউ দাউ আগুন

জানিনা  কিহল আজ আমার
কবর দেখলে ভাল  লাগে
হাঁসপাতাল দেখলে ভর্তি হবার মনচায়
মাথা, মন, শরীর কিচ্ছু ভাল নেই
গাছ তলায় কিংবা ব্রিজের তলায়
মরার মত বেওয়ারিশ লাশ হয়ে পড়ে থাকতে ইচ্ছাকরছে
জানিনা আজ কি হল আমার 
পাগল হয়ে গেছি
নাকি মানুষ এখনো আছি
বেঁচে আছি
নাকি মরেগেছি
শুধু অনুভব করতে পারছি বুকের মাজে কেবল জ্বলছে জ্বলছে
বিরহের কঠিন আগুন আর আগুন
দাউ দাউ করে সারা জীবন ।   

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০১৪

আমার কেবল একলা লাগে

আমার কেবল একলা লাগে
ভোর নিশিতে হৃদয় মাজে কষ্ট জাগে ।
জেগে ওঠি তাই সবার আগে বাগে
সাদা হৃদয় ভরে গেল বেদনার কাল দাগে ।

পৃথিবীর সব চাইতে নিকৃষ্ট জাতি হল আরব জাতি

পৃথিবীর সব চাইতে নিকৃষ্ট জাতি হল আরব জাতি । বিশ্বাস না হয় একবার আরব আমিরাতে গিয়ে দেখে আসতে পারেন । প্রভাসি ভাইদের উপর নির্মম অত্যাচারের অভিজ্ঞতা আর বাসার কাজে চাকরিরত বোনদের উপর নির্যাতন, ধর্ষণের কাতর কান্না শুনে আপনার হৃদয় বেদনায় পাথর হয়ে যাবে ।

তোমার দুটি চোখ

তোমার দুটি চোখ হাজার বছর দেখলেও হবেনা দেখা শেষ
এ জীবন কেন এত ছোট ভালবাসতে বাসতে সব ফুরিয়ে গেলেও ফুরায়না ভালবাসার আভেস ।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০১৪

খসে পড়া হৃদয়

জানি তোমার এখন বিষণ ব্যস্থ সময় কাটছে
ভালবাসার মানুষকে নিয়ে ভালই আছ
তাই তোমার সময় নষ্ট হবে বলে তোমার খুবকাছে এসেও আসিনি ,
তোমায় অনেক ভালবেসেও ভালবাসি কোন দিন বিলিনি ।
রজনীগন্ধ্যা নিয়ে অনেক সকাল, সন্ধ্যা এসে ফিরে গিয়েছি তোমার আঙিনার সিঁড়ি থেকে ,
দেখেছি রাতের নিয়ন আলোয় তোমার কোমল কুলে ভালবাসার মানুষটি শুয়ে আছে আর তুমি পরম আধরে তার মাথায় ভুলাচ্ছ হাত
তা দেখে আমার বুকের সকল পাজর ঝরে ঝরে পড়ে গিয়েছিল মৃত বৃক্ষের মৃত গুণেধরা ডালের মত আর আমার শরীর অবশ হয়ে গিয়ে ছিল
খসে পড়ে গিয়ে ছিল হাতে থাকা রজনীগন্ধা আর আমার হৃদয় ।

শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০১৪

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

জামিনে মুক্তি পায় ব্লগার রাজিবের খুনি, ছবির হাট ভাঙ্গাহয় , ৩৬ কোটি টাকার জনগণের সম্পদ কুত্তার বাচ্চা শফিকে দেয়া হয় এসব দেখে শুনে মনেহয় আমরা যেন দ্বিতীয় জামাত শিবিরের রাষ্ট্র পরিচালনার নীলনকশার বেড়াজালে বন্ধীহয়ে আছি , সরকার  মৌলবাদ টেকাতে গীয়ে নিজেই মৌলবাদী হয়ে গেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্যে সরকার এখন অডিজিটাল মধ্যযুগের অন্ধকারে আমাদের নিমজ্জিত করছে ! এটা ক্ষমতার লোভ  ? নাকি স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধা আর মুক্তিযুদ্ধের সাথে বেইমানী ? নাকি জাতির পিতা শেখ মুজিবের স্বপ্ন চিল এটা ? আমাকে কি একটু বলবেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ?

শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪

বিবাহ

মুহাম্মদ আব্দুল আলিমের বড় কন্যা মুছাম্মদ শবনম বেগমের সাথে আপনার শুভবিবাহ হতে যাচ্ছে রাজী থাকলে বলুন কবুল অনির্বাণ বলল কবুল
আবার থাকে বলা হল আবার সে বলল কবুল
আবার থাকে বলা হল আবার সে বলল কবুল
তার পর শবনমকে বলা হল মোহাম্মদ আব্দুল বকুল এর  পুত্র সন্তান জনাব অনির্বাণ এর সাথে আপনার চার লক্ষ্য চৌচল্লিশ হাজার  চার শত  চল্লিশ টাকা চল্লিশ পয়সা দেনমোহরে শুভ বিবাহ কার্জ ধার্জ করা হয়েছে তাতে যদি আপনি রাজী থাকেন তাহলে বলেন কবুল সে বলল কবুল
আবার থাকে বলা হল আবার সে বলল কবুল
আবার থাকে বলা হল আবার সে বলল কবুল ।
চার দিকে মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়েগেল
চার দিকে আনন্দের বন্যা বয়েগেল
শবনম অনির্বাণের দিকে থাকাল
অনির্বাণও শবনমের দিকে 
শবনম মিষ্টি হাসল
মিষ্টি হাসল অনির্বাণও
শবনব কে অনির্বাণের কাছথেকে সরিয়ে নিয়ে বাঁশর ঘরে বসিয়ে রাখা হল ।
শবনম বসে আছে বাঁশর ঘরে দু হাঁটুর উপর হাত তুলে, তার উপরে নিজের কোমল মুখ খানি রেখে ।
সে বসে আছে
অধীর অপেক্ষায় বসে আছে
সেই তার আশায়, যাকে ভালবাসার অপরাধে 
স্বামী , পিতা , মাতা, পাড়া প্রতিবেশী সবার কাছে হয়েছিল সে কঠিন অপমান, যার জন্য সে গলায় দিতে চেয়ে চিল ফাঁস ।
যাকে চির জীবন ভালবেসেছে অতচ জীবনের কোন একটি রাতও  তার সাথে বুকে বুক রেখে , চোখে চোখ রেখে, হাতে হাত রেখে ,কাঠাতে পারেনি ।
আজসে আসছে
আজসে আসবে
তার স্বামী হয়ে আসবে
অতবা প্রেমিক
অতবা বন্ধু
অতবা চির সঙ্গী হয়ে আসবে সে তার ঘরে
তার ঘর হয়ে যাবে আলোয় উজ্জ্বল
ভালবাসার রঙধনু ওঠবে আজ তার ঘরে
আনন্দে আজ তার হাত, পা  কাঁপছে
খুশিতে সে আজ দিসে হারা ।
সে কি বিষণ অপেক্ষায় বসে আছে তার সেই প্রিয় মানুষটিক জন্য
যাকে ভালবেসে থাকে সহ্য করতে হয়েছে অপবাধ, কঠিন বিষধর বেদনা , সমাজ চুড়েমেরেছে কলঙ্কের চুনকালি , স্বামী , ননদের নির্মম শত অত্যাচার,
যার জন্য তার এতো অধীর অপেক্ষা আজ সে সেই মানুষ সেই ভালবাসার মানুষকে পেতে চলেছে  ,তার লাগি সে গেতেরেখেছে ভালবাসার ফুলচন্দন মধুর মালা
আজ রাত সে জুড়াবে প্রাণ
মিটাবে মনের জালা ।
অতপর সে আসল খুলে বন্ধদরজা, যেখানে অপেক্ষারত তার প্রাণ প্রিয়া শবনম,অনির্বাণের পরনে সাদা পাঙ্গাবি সাদা পায়জামা কালো জুতো । আসার সমর পায়ের জুতো খুলে ঘরে আসল অনির্বাণ । পায়ের জুতো মানায় না এমন একটা সুন্দর বাঁশর ঘরে যেখানে আছে প্রাণ প্রিয়া শবনম কাচা ফুলের মধুর সৌরভ আর প্রেমিকার রঙ্গিন শাড়ীর লাল,নীল পূতির রঙ লাইটের আলোয় প্রতিফলিত হয়ে চক মক করছে সারা ঘর যেন এটা কোন  রঙমহল বা তাজমহল, হাজার ফুলের পাপড়ির মধ্যখানে বসে আছে শবনম আর মনি মুক্তার রঙিন আলো ঝরে ঝরে পড়ছে তার সারা গায় । অনির্বাণ আলতো পায়ে হেঁটে এসে শবনমের আলতা রাঙ্গা পায়ে কোমল স্পর্শকরল।
শবনম কেঁপে ওঠল অনির্বাণের কোমল স্পর্শে ,
কেঁপে ওঠে একপলক অনির্বাণের মুখপানে থাকাল সে ।  অনির্বাণ অনিরবর্চনিয় মুগ্ধ হয়ে অপলকে চেয়ে থাকে শবনমের মুখ পানে , চাদের মত গোল  মুখ ,কপালে লাল টিপ, চোখে কাজল, নাকে নোলক , কানে দোল , মাথায় টিকলি , লাল গোলাপের  মত লাল দুটি ঠোট । দিশেহারা হয়ে গেল অনির্বাণ শবনমের পাগল করা সুন্দর্য দেখে , কয়েক মিনিট নীরবতা নিয়ে বলল  সে তোমার চাঁদ মুখখানি আরেকবার তুল
মাথার ঘুমটা টা খুল
আমাকে তোমার কাঁচা সোনার অঙ্গ দেখাও যেখানে যৌবন হীরের মত চক চক করছে দেখে আমি পাগল হয়ে যাই ।
শবনম লজ্জায় লাল হয়ে যায় থাকাতে চেয়েও থাকাতে পারেনা অনির্বাণের দিকে। যে মানুষকে সারা জীবন সে দূর থেকে দেখেছে আজ এতো কাছে পেয়ে তার একদম বিশ্বাসই হচ্ছেনা, সে স্বপ্ন দেখছে নাকি বাস্তবে দেখছে অতপর শবনম মুখ তুলে থাকাল ।  অনির্বাণের মুখপানে চেয়ে বলল আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো ?
অনির্বাণ বলল বিশ্বাস না হলে চিমটি খেয়ে দেখতে পার
শবনম অনির্বাণের মেহেদী মাখা হাতে চিমটি কাটল
অনির্বাণ উহ লেগেছে বলে শবনমের হাতটা ধরলও শবনমের চোখে জল এসে গেল অনির্বাণ বলল আজ এই সুখের দিনে তোমার চোখে জল কেন ?
শবনম বলল সারা জীবনইত দুঃখে কাঁদলাম এবার নাহয় কাঁদলাম একটু সুখে , বলেই অনির্বাণের দু হাতে সে চুমো খেল কপালে চুমো খেলো বুকের  মধ্যে চুমোখেলো অনির্বাণ শবনমের আদরে নিজেকে হারিয়ে ফেলল । জীবনের এই প্রথম অনির্বাণ প্রাণ খুলে হাসল  তার খুব ভাললাগল ভুলে গেল জীবনের সকল নির্মম বেদনা  জড়িয়ে ধরল শবনমকে চুমো খেল হাতে, পায়ে , ঊরুতে , কোমরে ,  স্তনে, গালে,  কপালে , ঠোটে
ঠোট রেখে হৃদয়ে হৃদয় মিশিয়ে ভেতরে ভালবাসার মধু ঢেলে দিল ।  

সোমবার, ২ জুন, ২০১৪

মন ভালনেই তাই কিচ্ছু ভাল লাগছেনা

মন ভালনেই তাই কিচ্ছু ভাল লাগছেনা
কিছু করতে গিয়ে কিছুই করতে ইচ্ছে করছেনা
কিছু বলতে গিয়ে কিছুই বলতে ইচ্ছে করছেনা
কোথায়ও চলতে গিয়ে চলতে ইচ্ছে করছেনা
এই মুহুর্তে কেবল প্রিয় মানুষ টির মন আর প্রিয় মুখ
দেখতে ইচ্ছে করছে ।
হাতে হাত রেখে পার্কে খুলা রাস্থায় খুলা হাওয়ায় আর চায়ের স্টলে চা অতবা কফি পান করতে ইচ্ছে করছে  ।
গায়ের ধুলো মাখা পথ , সবুজ ঘাস , সাদা  ফুল, রঙ্গিন প্রজাপতি ধানের ফড়িং
কৃষ্ণচূড়ার গাছ দুহাত দিয়ে ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে ।
আকাশের নীল রং আর রংধনুর সাত রং তুলে এনে ইচ্ছে করছে সাজাই প্রিয়া তোমার রেশমি শাড়ি
আর তোমায় কোলে তুলে নিয়ে যাই আমার বাড়ি ।