শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

ও কালো মেয়ে বলো না তুমি হবে কি আমার বধু ।


কালো বলে কেউ , কাউকে করো না অবহেলা
কালো মেয়ের কালো চুলে ভাসে মেঘের ভেলা
কালো মেয়ের কালো চোখে আছে চান্দের আলো 
কালো কালো বলে লোকে সেইতো জগৎ ভালো
কাল মেয়ের রাঙ্গা ঠোঁটে আছে ফুলের মধু
ও কালো মেয়ে বলো না তুমি হবে কি আমার বধু
কালো মেয়ের গভীর চাহনি কেড়ে নিল প্রাণ
ভাই বুকে মারে টান
প্রেমের জ্বালায় জ্বলিয়া হৃদয় করে আনচান ।
কালো মেয়ের কালো ভেজা চুলে গুছিয়ে দেব ফুল ।
কানে দেব দুল
গলায় পরাবো ফুলের মালা
সে হোক না যতই কালা
কালো মেয়ের রঙ্গিন জামায় ঢাকা উত্তাল যৌবন জ্বালা
কালো মেয়ের কালো গভীর সাগরে ওঠেছে ভাই ঢেউ
খালি পড়ে রইল সাগর সাঁতার কাটল না কেউ ।

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

গভীর রাতের কবিতা ।

গভীর রাতের কবিতা

তুমি চলে যাবার পর আমার ভীষণ একলা লাগে
তোমার কাঁধে হাত রেখে অভ্যেস হয়ে গেছিল তাই
এখন যতবার শূন্যে হাত উঠাই তোমাকে মনে পড়ে ।
এখন আমার পাশে আমার চিরচেনা বিড়াল ,
টেবিল, বসার চেয়ার ছাড়া আর কিচ্ছু নাই ।
তাই মাঝে মাঝে ওদেরকে অনেক আপন মনে হয় ।
টেবিলে মাথা রেখে তোমার কথা মনে করে সারা রাত পার করে দেই চোখের জলে বুক ভাসিয়ে ।
যখন ভোরের সূর্য পশ্চিম আকাশে উদিত হয়
তখন মনে হয় যেন বেঁচে আছি ।
আমি ভেবে পাইনা বেঁচে থাকাটা কি আমার খুব জরুরী?
আমি কেন বেঁচে আছি এখনো ?
আমার যে আর এতোটুকু ইচ্ছে করছে না বেঁচে থাকার একা একা।
মহাবিশ্ব্ শূন্যতা পছন্দ করে না তাই পদার্থের সাথে পদার্থের সংঘর্ষের ফলে বিগ ব্যাং, তারপর এই মহা বিশ্বের সৃষ্টি করেছে ।
এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির পর
মহাবিশ্বকে সযত্নে সাজিয়ে প্রকৃতি পরম আনন্দে করছে বসবাস।
আর এই পৃথিবী নামক গ্রহের ছোট্ট একটি ঘরের একখানা বাঙা দরজা , জানালা, টেবিল-চেয়ার পানির পেয়ালাতে চুমুক দিয়ে আর কত দিন একা একা শূন্যতায় নিজের দৃষ্টি বিলাবো ।
আমি কখনো কি চুমু খেতে পারব না
নারীর লাল গোলাপের মতো রাঙা ঠোঁটে
তার ভালোবাসার চাহনি ভরা হরিণ চক্ষে,
নিতে পারবো নাকি গভীর নিঃশ্বাস তার তাজা গোলাপের গন্ধে ভরা বুকে। তার গোলাপের গন্ধ ভরা বুকে একটি গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে যদি বিষের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে এই পৃথিবীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করি, তবেই আমার মানব জনম সার্থক।
কিন্তু কে সে,?
সে কোন মানবী?
এসে তার বক্ষ দুয়ার খুলে হেলিয়ে আমার চোখের সামনে ধরে বলবে এসো চুমু খাও ইচ্ছে মত আর গভীর নিঃশ্বাসে আমাকে তোমার ভিতর নিয়ে নাও।
আমি ঘুমোইনি আমি ঘুমোতে চাই অনন্ত সুখে হাজার, হাজার বছর ..........

রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ।

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
সব মায়ের কাছে তার ছেলে হয় রাজপুত্র
বাবা বলতেন অকর্মা ছেলে কাজে কর্মে কোন মন নেই সারাদিন কেবল খেলাধুলা ।
মা বলতেন রাজপুত্র ছেলে আমার, বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হবে ।
আজ বাবা , মা বৃদ্ধ ।
এখন কেউ আমায় শাসন করেনা।
আমি এখন অনেক বড় হয়েগেছি ।
কিন্তু আজ জীবনের এই কঠিন ঝলসানো বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে বলতে ইচ্ছে করছে, মা কি অসহ্য বেদনার কঠিন পাথর বুকে নিয়ে দিবারাত্রি টুকরে টুকরে বেঁচে আছি মা তোমার রাজপুত্র ছেলে আর রাজপ্রাসাদে নাই মা, সে এখন ভবঘুরে তার এখন কোন দিন নেই, রাত নেই, পূর্ব নেই, পশ্চিম নেই নেই ভালোবাসার একখানা সবুজ নীড় ।
চারদিক অন্ধকার আর অন্ধকার ।
শুধু একটি আলো আজ বুকের মাঝে জল, জল করে জলছে মা, সে তোমার দেয়া নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ।

ভালোবাসা নামক সূর্যের প্রদক্ষিণ করতে করতে কাটিয়ে দিলাম জীবনের ৩২ টি বছর এখনো হৃদয় নামক পৃথিবীতে ঋতুরাজ বসন্ত এলো না।

ভালোবাসা নামক সূর্যের  প্রদক্ষিণ করতে করতে কাটিয়ে দিলাম জীবনের ৩২ টি বছর এখনো হৃদয় নামক পৃথিবীতে ঋতুরাজ বসন্ত এলো না।

নেশা ।

নেশা
তোমার নেশায় নেশা পান করতে করতে বুকে ধরেছে ঘুন
তোমার জ্বালায় জ্বলতে জ্বলতে হয়েছি আগুন।
তোমার বেদনায় কষ্ট পেতে পেতে হয়েছি পাষাণ
তোমার জন্য মরতে মরতে হয়েছিস শ্মশান ।
আমার ভেতরে শুধু তুমি তুমি তোমার বসবাস
তোমার তরে ভাবনায় পড়ে হয়েছে অকাল সর্বনাশ।
আমায় তুমি দুঃখ দিয়ে আছ খুবই ভালো
তুমি আমায় হাসাও, আমায় ভাসাও, আবার আগুন জ্বালো ।
তুমি একবার এসে দেখে যাও আমি কেমন আছি
তোমার প্রেমে বিভোর হয়ে মৃত্যুর সাথে খেলছি কানামাছি ।

প্রেমের তরী বাইতে বাইতে কাটিয়ে দিলাম বেলা জীবন তরী বাইতে গিয়ে দেখি আমি একেলা ।

প্রেমের তরী বাইতে বাইতে কাটিয়ে দিলাম বেলা জীবন তরী বাইতে গিয়ে দেখি আমি একেলা ।

রবিবার, ৬ মে, ২০১৮

ছেলে বেলার গান ।

অনেক দিন পর, অনেক দিন আগের, আমার ছোট বেলার সৃতি নিয়ে একটি কবিতা লেখলাম । কবিতাটি আজ সবার কাছে শেয়ার করলাম,যদি আমার ছোট বেলার মত কারো ছোটবেলা মিলে যায়, তাহলে জানাবেন । ধন্যবাদ।
সেদিনের সেই দাড়িয়ে থাকা ,
একটি পলক তোমায় দেখা
তার পর লাফিয়ে লাফিয়ে 
হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বাড়ি ফেরা ।
দুষ্টমিতে মায়ের বকা
বোনের শাসন
বাবার আদর
জড়িয়ে কাঁদা বিছানা চাদর ।
সকাল বেলায় স্কুলে যাওয়া,
বিকাল বেলায় গান গাওয়া,
দুপুর বেলায় পুকুর জলে দলে দলে সাতার কাটা ,
দুটি টাকার জন্য সারা দিন মায়ের আচল ধরে পিছু হাটা ।
পাশের বাড়ির আম চুরি,
তাড়িয়ে আসা গায়ের বুড়ি।
সারা দিন মাটে, ঘাটে
সন্ধ্যা বেলায় বই পাঠে।
দাদির কাছে কেচ্ছা শুনা
মনে মনে স্বপ্ন বুনা ।
সিনেমা দেখে নাইকার প্রেমে পড়া
তাকে নিয়ে পত্র লেখা
গান শুনা ।
কবিতা পড়া ।
বিলের ধারে জাল দিয়ে মাছ ধরা
শাপলা পুলের গন্ধে হৃদয় উজাড় করা ।
এইতো ছিল জীবন
ছোট বেলা মধুর খেলা
খুজি আমি এখন।