বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বেওয়ারিশ লাশ

রাস্তায় শুয়ে আছি কম্বল মুড়ি দিয়ে
ছেড়া ফাড়া জামা পরে ভিক্ষা করছি
ঝড়ের রাত্রিতে মহানন্দে গান করছি অতবা বিলাপ করছি
বৃক্ষ তলায় বসে পরম সুখে কবিতা লিখছি
অনাহারে মুখ শুকীয়ে চোখ বড় হয়ে আছে 
অর্থ কষ্টে অনর্তক গুরা ফীরা করছি
গভীর রাত্রে নিবিড় বেদনায় স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বের হয়ে আসা গৃহবধুর সাথে
প্রেমের আলিঙ্গনে পরম সুখ দিচ্ছি
আমার দেশ , খেশ , গৃহ , গৃহবধূ , প্রেমিকা কেউ নেই  কোন দিন ছিল না
আমি পথ হাঁটছি অনেক দিন অনেক মহাকাল ধরে হাঁটছি অনন্ত কাল ধরে হাঁটছি
আমার যাত্রা সঙ্গী কেবল আমি ।
আমি নিঃসঙ্গ পথিক আমাকে অনেক অনেক দূর যেতে হবে
যেখানে পাহাড়ের মত দাড়িয়ে আছে পৃথিবীর সকল শান্তি সকল সুখ সকল সফলতা 
কিন্তু আমি অনন্ত কাল ধরে হাঁটছি আমি বড় ক্লান্ত  তৃষ্ণায় গলা শুকীয়ে ফেটে যাচ্ছে
পা দুটো শুকনো পাথার মত ঝরে ঝরে পড়ছে , কত কাল কেটে গেল বিশ্রাম হীন
তবু আমি হাঁটছি  হাঁটতে...... হাঁটতে...... একদিন শুয়ে পড়ব কেয়া বনের ধারে,
পাসে থাকবে ধুলো মাখা পথ
সামনে বিশাল জগত
পেছনে মহাকাল,
মধ্যখানে আমিশুয়ে থাকব
প্রচণ্ড ক্ষিদায় আমার নাড়ি বুড়ি ছিরে যাবে
তৃষ্ণায় গলা ফেটে যাবে ক্লান্তিতে চির নিদ্রা দু চোখ ভরে আসবে
আর তখন আর তখনি আকাশ জুড়ে নাবে শ্রাবণ ধারা
প্রাণ ভরে করব পান বৃষ্টির জল
আর আমি পরম আনন্দে যাবো চির নিদ্রায়
আমার লাশ বনো শেয়াল আর পথের কুকুর ছিড়ে ফেড়ে খাবে
পৃথিবীতে তখন আর আমার আপন বলতে কেউ থাকবেনা ।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন