শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৩

জীবন মৃত্যু

জীবন তরীর গতিপথ হটাৎ করে
এ কোন দিকে নীল মোড় ?
জল তরঙ্গের উজ্জ্বল ঝিলি মিলি
আচমকা হারিয়ে গেল এ কোন বিভীষিকায় ? 
কাঁপতে লাগল ধরণী
লাফাতে লাগল তরণী
উথাল পাতাল হল
 জল, স্থল
ক্ষয় হতে লাগল গায়ের বল
অগ্নিঘিরির মত জেগে ওটল
 বুকে বিরহের অনল ।

আমি মরতে লাগলাম
আমি ঝরতে লাগলাম
জীবনের এ ব্যথা দগ্ধ পথ
রচনা হল শুধু তোমার প্রেমাঞ্জলিতে একটিবার স্পর্শ করবে বলে আমার দুটি কাতর হাত ।

কত পাথরময় শিতার্ত প্রভাত আমি অপেক্ষায় ছিলাম !

জীবনে কত সাদ ছিল
মনের মাজে আহ্লাদ ছিল
কত যৌবনের জলতরঙ্গ খেলাকরেছিল
কত আশা, ভালবাসা ছিল
সবি সর্বনাশা ঝড় লণ্ড বন্ড করে দিল ।

আমি আছতে আছতে পাগল হতে শুরু করলাম 
মাতা শির শির করে ওটল্‌
চোখ ঝির ঝির করতে লাগল
আমি বেশী কিছু আর ভাবতে পারলাম না
আমার জ্ঞান, ধ্যান সব হারীয়ে
ঊপূড় হয়ে শুয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিলাম ।

মৃত্যু আমাকে ঝড়িয়ে ধরল পরম আধরে
আমি মুখ বড়করে হা করলাম
আমার ভেতরে ডোকে পড়ল মৃত্যু
ডোকে আমার নাড়ি বুড়ি ছিঁড়তে লাগল
আর আমি কাঁদতে লাগলাম প্রচণ্ড জুরে চিৎকার করে
কেউ এলনা  শুনে আমার এ কাতর চিৎকার !
এলনা এতটুকু শান্তির বাণী শুনাতে আমায় ।

আমার দু চোখের জল
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
শ্রুতের মত
আমার কবরের দিকে ।

আমি চোখ মেলে দেখলাম
দু একটা ঘাস ফুল, তাঁরার মত
ঝল ঝল করছে আমার সমাধির পাশে
আর দু একটা ঘাস ফড়িং লাফাচ্ছে তেড়ে বেড়ে ।

আমি মরে যাচ্ছি !

কেউ একজন আমার মাতা স্পর্শ করল
আমি চমকে ওটে থমকে গেলাম !

দেখলাম এবড়ূ  তেবড়ূ  মাতার চুল
খালি পা, ছেড়া ফাড়া শাড়ি ।

আমার কপাল স্পর্শ করলেন 
আমি শান্ত  হতে লাগলাম
আমার বুক স্পর্শ করলেন
আমার ক্লান্তি দূর হতে লাগল
আমার পা স্পর্শ করলেন
আমার সব বেদনা ভুলে যেটে লাগলাম
আমার হাত স্পর্শ করলেন
আমি সম্পুর্ন জীবিত হয়ে ওটে তার শাতে চলতে লাগলাম , যেতে লাগলাম ।
হেঁটে হেঁটে হেঁটে হেঁটে বহুদূর !
১০.০৯.২০১২ আলমগীর হোসেন বিরহী ।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন